পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। মানুষ বা বস্তুর সংস্পর্শে থেকে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা থেকে শুরু করে বাড়ির বাইরে পা ফেললেই আতঙ্কে দিন পার করছে মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন কেনাকাটা করার আগে অবশ্যই মাস্ক, গ্লাভস পড়ে নিতে হবে। সেই সাথে সবার সাথে সবার ৩ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং কিছুক্ষণ পরপর হাত পরিষ্কার করতে হবে।
কিছু মানুষ আছেন যারা বাইরে থেকে ফেরার পর নিয়মিত ভাবে নিজেদের ফোন পরিষ্কার করে। কিন্তু বাইরে থেকে যা কিনে নিয়ে আসা হলো সেগুলো পরিষ্কারের ব্যাপারে মানুষ কতটুকু সচেতন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারের মাধ্যমে করোনার জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বরং মানুষ বাইরে থেকে বাড়িতে বেশি জীবাণু নিয়ে আসে অন্যের সংস্পর্শ থেকে ।
যুক্তরাজ্যের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের ওয়েবসাইট বলছে, খাবারের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ অসম্ভব প্রায়। এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যাম্বিজ্রের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক স্টিফেন বেকার জানান, খাবারের উপর ভাইরাস খুব কম সময়ই বেঁচে থাকতে পারে। অন্যান্য বস্তুর তুলনায় খাবারে ভাইরাসের জীবনকাল খুবই কম।
দূষিত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
স্টিফেন বেকার বলছেন, খাবারের মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সি বলছে, সঠিক তাপমাত্রায় খাবার রান্না করা হলে জীবাণু সহজেই মারা যাবে।
আমি এখনো চিন্তিত, নিজেকে কিভাবে রক্ষা করতে পারি?
যুক্তরাজ্যের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগের ওয়েবসাইট বলছে, খাবারের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ অসম্ভব প্রায়। এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যাম্বিজ্রের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক স্টিফেন বেকার জানান, খাবারের উপর ভাইরাস খুব কম সময়ই বেঁচে থাকতে পারে। অন্যান্য বস্তুর তুলনায় খাবারে ভাইরাসের জীবনকাল খুবই কম।
দূষিত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
স্টিফেন বেকার বলছেন, খাবারের মাধ্যমে জীবাণু সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সি বলছে, সঠিক তাপমাত্রায় খাবার রান্না করা হলে জীবাণু সহজেই মারা যাবে।
আমি এখনো চিন্তিত, নিজেকে কিভাবে রক্ষা করতে পারি?
> প্রথমত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওয়াইপ (ভেজা টিস্যু) ব্যবহার করা যেতে পারে
> খাবার তৈরি করার আগে বা বানানোর আগে হাত ভালোভাবে ধুতে হবে।
> যেকোন জিনিস ব্যবহারের আগে অবশ্যই পানি দিয়ে পরিষ্কর করতে হবে।
> শপিং ব্যাগ যদি একাধিকবার ব্যবহার করেন তবে ব্যাগটি দ্বিতীয় বার ব্যবহারের আগে অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে।
> বাজার থেকে বাড়ি আসার পর হাত ধুতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে বাড়ির বাইর যেতে হবে।
বাজারের সময় সচেতন থাকুন এই ৫ বিষয়ে
চীন থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ভয়াবহ আগ্রাসন চালাচ্ছে করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯। বাংলাদেশেও প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ঊর্ধ্বগামী। যা জানিয়ে দিচ্ছে, সচেতন হওয়া প্রয়োজন সবার আগে। এ জন্য নিতান্ত প্রয়োজন ব্যতীত বাড়ির বাইরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ, প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে গেলেও সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ অন্যের সঙ্গে ছয় ফিট দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজন বলতে বোঝায় নিত্যদিনের বাজার ও ওষুধপত্র। ডিপ ফ্রিজে যতই কাঁচা ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করা থাকুক না কেন, নির্দিষ্ট সময়ে বাজার করার প্রয়োজন হবেই। এ জন্য বাজারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে মাস্ক পরে নিজেকে প্রস্তুত করে তবেই বের হতে হবে। তাই বাজার করার ক্ষেত্রে যে নিয়মগুলো সতর্কতার সঙ্গে মেনে চলা জরুরি, সেটা জেনে রাখুন নিরাপদে থাকার জন্য।
১. শুধু মাস্ক পরাই যথেষ্ট নয়, সাথে হ্যান্ড গ্লাভসও পরতে হবে বাজারের সময়। খোলা স্থানে এখন কোনো বাজার নেই, সুপার শপ থেকেই যাবতীয় কেনাকাটা করা হচ্ছে। সুপার শপের ট্রলি কিংবা কার্টগুলো হাতের সাহায্যে যেহেতু ধরতে হয়, তাই হাতকে সুরক্ষিত রাখা সবচেয়ে বেশি জরুরি।
২. বাজারের অন্যান্য জিনিসের মাঝে কাঁচা মাছ-মাংসকে রাখতে হবে ভিন্ন ব্যাগে আলাদাভাবে। শুকনো জিনিস কিংবা ফল ও সবজির সাথে একই ব্যাগে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. যেকোনো ফল ও সবজি কেনার সময় খুব ভালোভাবে খেয়াল করুন, এতে কোনো ফাটা অংশ, নষ্ট ও পচে যাওয়া অংশ, থেঁতলে যাওয়া অংশ আছে কিনা। যদি এমনটা চোখে পড়ে তবে সে ফল বা সবজি কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এ ধরনের খাদ্য উপাদানে ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর সংক্রমণ হয় দ্রুত।
জরুরি প্রয়োজন বলতে বোঝায় নিত্যদিনের বাজার ও ওষুধপত্র। ডিপ ফ্রিজে যতই কাঁচা ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করা থাকুক না কেন, নির্দিষ্ট সময়ে বাজার করার প্রয়োজন হবেই। এ জন্য বাজারের উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে মাস্ক পরে নিজেকে প্রস্তুত করে তবেই বের হতে হবে। তাই বাজার করার ক্ষেত্রে যে নিয়মগুলো সতর্কতার সঙ্গে মেনে চলা জরুরি, সেটা জেনে রাখুন নিরাপদে থাকার জন্য।
১. শুধু মাস্ক পরাই যথেষ্ট নয়, সাথে হ্যান্ড গ্লাভসও পরতে হবে বাজারের সময়। খোলা স্থানে এখন কোনো বাজার নেই, সুপার শপ থেকেই যাবতীয় কেনাকাটা করা হচ্ছে। সুপার শপের ট্রলি কিংবা কার্টগুলো হাতের সাহায্যে যেহেতু ধরতে হয়, তাই হাতকে সুরক্ষিত রাখা সবচেয়ে বেশি জরুরি।
২. বাজারের অন্যান্য জিনিসের মাঝে কাঁচা মাছ-মাংসকে রাখতে হবে ভিন্ন ব্যাগে আলাদাভাবে। শুকনো জিনিস কিংবা ফল ও সবজির সাথে একই ব্যাগে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৩. যেকোনো ফল ও সবজি কেনার সময় খুব ভালোভাবে খেয়াল করুন, এতে কোনো ফাটা অংশ, নষ্ট ও পচে যাওয়া অংশ, থেঁতলে যাওয়া অংশ আছে কিনা। যদি এমনটা চোখে পড়ে তবে সে ফল বা সবজি কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এ ধরনের খাদ্য উপাদানে ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর সংক্রমণ হয় দ্রুত।
৪. প্যাকেটজাত ও ক্যানড ফুড কেনার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে, দেখে নিতে হবে কোথাও কোনো ফাটল আছে কিনা এবং প্যাকেট নতুন কিনা। যেহেতু এগুলো প্রসেসড ফুড, সামান্য বাতাসের সংস্পর্শেও দ্রুত জীবাণুর সংক্রম ঘটে এতে।
৫. বাজার করে বাসায় ফেরার সাথে সাথেই দ্রুত বাজারের ব্যাগ থেকে সমস্ত জিনিস বের করে ব্যাগ ফেলে দিতে হবে। এই ব্যাগ কোনভাবেই পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া বাজার থেকে আনা শুকনো, প্যাকেটজাত খাদ্য উপাদানগুলো বাতাসে রেখে দিতে হবে অন্তত ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত। এরপর রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা কিংবা ব্যবহার করা যাবে। মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানিতে চুবিয়ে রাখতে হবে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত। এরপর ভালোভাব প্যাকেট করে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে।
৫. বাজার করে বাসায় ফেরার সাথে সাথেই দ্রুত বাজারের ব্যাগ থেকে সমস্ত জিনিস বের করে ব্যাগ ফেলে দিতে হবে। এই ব্যাগ কোনভাবেই পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া বাজার থেকে আনা শুকনো, প্যাকেটজাত খাদ্য উপাদানগুলো বাতাসে রেখে দিতে হবে অন্তত ৩ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত। এরপর রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা কিংবা ব্যবহার করা যাবে। মাছ-মাংসের ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানিতে চুবিয়ে রাখতে হবে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত। এরপর ভালোভাব প্যাকেট করে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে।
No comments:
Post a Comment