Biography of Abu Bakr, the first caliph of Islam and companion of the Prophet (peace be upon him) -ইসলামের প্রথম খলিফা এবং নবী করীম (সাঃ) এর সহচর আবু বকর (রা:) এর জীবনী - Poisha BlogPoisha

Breaking

To the Right way to Online Income, Watching Movie, Song, Videos, Free Live TV, Life Style, interior design life style, tips and tricks , luxury car, mercedes benz mercedes, gold spot price, gold price chart, gold stock price, best luxury suv, best luxury suv 2021 2021 luxury suv, luxury sedans, most luxurious car and Blogging

hj

Wednesday, April 15, 2020

Biography of Abu Bakr, the first caliph of Islam and companion of the Prophet (peace be upon him) -ইসলামের প্রথম খলিফা এবং নবী করীম (সাঃ) এর সহচর আবু বকর (রা:) এর জীবনী

মধ্য আরবের ইয়ামামা প্রদেশের বনি হানিফা গোত্রের প্রধান মুসায়লামা তার ডেরায় বসে নিবিষ্টমনে কি যেন চিন্তা করছে। সে এখন নবী। তবে স্বঘোষিত, ভণ্ড নবী। অবশ্য এতে তার কিছু যায় আসেনা। কারণ কিছুসংখ্যক মূর্খের দলকে ইতিমধ্যে সে তার দলে ভেড়াতে সক্ষম হয়েছে যারা বিশ্বাস করে বসে আছে যে, সে বুঝি আল্লাহ প্রেরিত সত্যিকারের নবী। মুসায়লামা মিটিমিটি হাসছে। মনে একঢোক নিজের তারিফ করে নিল সে। নাহ আসলেই তার কেরামতি অল্প হলেও আছে। এমন চিন্তা করতে তৃপ্তির ঢেকুর তোলার সাথেই তার মাথা যেন চিনচিন করতে লাগল। সে গতকাল দূত মারফত খবর পেয়েছে বনি ইয়ারবু গোত্রের এক তুচ্ছ মহিলাও নাকি নিজেকে নবী দাবি করছে। এটা তো আরো উৎকট একটা ঝামেলা। মহিলা মানুষ আবার নবী হয় কিভাবে!



আরব উপদ্বীপের বিখ্যাত যাযাবর গোষ্ঠী বেদুইনদের জনৈক সর্দারের মন কিছুদিন যাবত কোন এক অদ্ভুত কারনে আকুপাকু করছে। তার এ অস্থিরতায় গোত্রের অন্যান্য সদস্যগণও কিঞ্চিত অস্থির। বস্তুত, কিছুদিন ধরে পুরো বেদুইন গোত্রের মধ্যেই কেমন যেন একটা ম্যাজম্যাজে ভাব বিরাজ করছে। বেদুইন সর্দার তার অস্থিরতার কারন সবার সম্মুখে পেশ করল।

আমাদের আর এমন গাঁটছড়া জীবনযাপনের কোন দরকার নাই। আমরা স্বাধীনপ্রিয় জাতি। মুহাম্মদ (স:) এর প্রগাঢ় ব্যক্তিত্বে হয়তো কিছুটা দুর্বল হয়ে ইসলামে দীক্ষিত হয়েছি। কিন্তু এখন তো মুহাম্মদ পৃথিবীতে নেই। আর নয়। আমরা স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাই"।

নবদীক্ষিত আরব মুসলিমদের একটি দলের নাকি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়তে বিশেষ অসুবিধা হয়। ভোর আর রাতের নামায পড়তে তাদের ভাল লাগেনা। তাই এই দুই ওয়াক্ত নামাযকে বাদ দিয়ে তারা তিন ওয়াক্ত নামাযের নতুন ফর্মুলা নিজেদের মধ্যে চালু করে নিল। শরাব পানকেও অলিখিতভাবে বৈধ ঘোষণা করে ফেলল। যাকাত দিতেও গড়িমসি করতে লাগল।

উপরের দৃশ্যগুলোর সময়কাল ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের মাঝামাঝি। সদ্যপ্রয়াত শেষ নবী মোহাম্মদ (স:) এর ইসলামি রাজ্যের খিলাফতের সংকটপূর্ণ সূর্য উদিত হয়েছে মাত্র। এক অসম দায়িত্ব কাঁধে করে ইসলাম ও ইসলামি খিলাফতের অভিভাবকের গুরুদায়িত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হযরত (স:) এর এককালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সহচর মহামতি খলিফা হযরত আবু বকর (রা:)। পূর্ণাঙ্গ একটি জীবনব্যবস্থা যেন শেষ নবীর ওফাতের সাথে ভংগুরপ্রায় হয়ে পড়ল। দিকে অশান্তি আর বিশৃঙ্খলার দুষ্টু সত্তা যেন আবু বকর (রা:) ও ইসলামী সাম্রাজ্যের অক্ষুণ্ণতাকে বুড়ো আংগুল দেখাতে লাগল। কিন্তু মহান খলিফা এতটুকু বিচলিত না হয়ে শক্ত হাতে উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবেলা করেন। ঠাণ্ডা মাথার দূরদর্শী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তার খলিফা পদের যথোপযুক্ততা প্রমাণ করলেন। প্রায় দুই বছরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে সফলতার মুকুট গায়ে দিয়ে অর্জন করলেন ইসলামের ত্রাণকর্তার মর্যাদা। একজন সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে ইসলামের ত্রাণকর্তা হওয়ার গল্পের নেপথ্যনায়ক আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) জীবনের আদ্যোপান্ত জানব আজ।

আবু বকর (রা:) : ব্যক্তিত্বের স্বরূপতা

মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশের তাইম গোত্রে ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেন আব্দুল কাবা। ইসলাম আগমনের পূর্বে আব্দুল কাবা বা আতিক নামে পরিচিতি পাওয়া ইসলামের প্রথম খলিফা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর হয়ে উঠেন আব্দুল্লাহ। উটছানার সাথে খেলাধুলা করতেন বলে তার নাম হয়ে যায় আবু বকর। অর্থাৎ উটের পিতা। এই আবু বকর নামেই তিনি পরবর্তীতে সমধিক প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেন। তার পিতার নাম ছিল আবু কোহফা এবং মাতার নাম সালমা। তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন কুতাইলা এবং দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন উম্মে রুমান। ইসলাম গ্রহণ না করার অপরাধে তিনি তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেন। প্রথমা স্ত্রীর গর্ভে তার দুই সন্তান আব্দুল্লাহ ও আসমার জন্ম হয়। দ্বিতীয়া স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেন আব্দুর রহমান ও আয়েশা। হযরত আবু বকর (রাঃ) ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন একজন কাপড় ব্যবসায়ী। ব্যবসা বাণিজ্যের সুবাদে কুরাইশ বংশের প্রভাবশালী ব্যক্তির তকমা তার গায়ে সেঁটে যায়। তিনি ছিলেন ভদ্র, মার্জিত। আট দশটা আরব যুবকের মত তাকে মক্কার অন্ধকার আর পৌত্তলিকতা ছুঁতে পারেনি। বয়সের দিক থেকে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সমবয়সী হওয়ার কারনে বাল্যকাল থেকে তাদের মধ্যে আলাদা একটা সখ্যতা সৃষ্টি হয়ে যায়। ছোটকাল থেকেই মহানবীর প্রভাব বলয়ে পড়ে গিয়ে তার কোনধরনের চারিত্রিক স্খলন ঘটেনি। ধীরে তিনি হয়ে উঠেন আরো সমৃদ্ধ, বিশুদ্ধ। তার চারিত্রিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছিল মক্কার আবালবৃদ্ধবনিতাকে। চেহারা গাম্ভীর্যেও তিনি ছিলেন সুপুরুষ। পাশাপাশি অগাধ ধনসম্পত্তি যেন তার ব্যক্তিত্বের ষোলকলা পূর্ণ করে দিল। এই অগণিত অর্থবিত্তকে কাজে লাগিয়ে দাসত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করেছিলেন অনেক ক্রীতদাসকে, যারা পরবর্তীতে হয়ে উঠেছিলেন প্রসিদ্ধ সাহাবি।




ইসলাম ধর্ম গ্রহণ


গুরুত্বের বিচারে আবু বকর (রাঃ) প্রথম ইসলাম গ্রহীতার সম্মান দেয়া হয়। যদিও হযরত আলী (রাঃ) সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তিনি ছিলেন নাবালক। বয়স্কদের মধ্যে

আবু বকর (রাঃ) ই প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তার ইসলাম গ্রহণ করার কাহিনী মোটামুটি আকস্মিকই বলা চলে।

আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহীপ্রাপ্ত হয়ে হযরত মোহাম্মদ (স.) যখন শিশুধর্ম ইসলামের বাণী প্রচার করতে শুরু করেন, ঘটনাক্রমে আবু বকর (রাঃ) তখন ব্যবসার উদ্দেশ্যে ইয়েমেনে অবস্থান করছেন। যথাসময়ে তিনি মক্কা ফিরে আসলে আবু জেহেল ও উতবা অস্থির হয়ে তার কাছে মোহাম্মদের নবুওত প্রাপ্তির দুঃসংবাদ দিতে রওনা হল। আবু বকর (রাঃ) তাদের কাছে এমন খবর শুনে সাথে মোহাম্মদ (স.) এর কাছে চলে গেলেন। তিনি কি আসলেই নতুন কোন ধর্মের প্রচার শুরু করেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলেন। মহানবী দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে ঘোষণা করলেন,

"হ্যাঁ আমিই আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়, তার কোন"





এই কথা শুনে আবু বকর (রাঃ) এর দেহে যেন বিদ্যুৎ সঞ্চারিত হল, এক অদ্ভুত শক্তির আচ্ছন্নতায় মোহিত হয়ে গেলেন। আর সাথে বিশ্বনবীর হাত ধরে বাইয়াত গ্রহণ করলেন। সূচিত হল এক নতুন জীবনের অধ্যায়ের। এর পরের অংশ সকলেরই জানা।

আবিসিনিয়ায় হিজরত প্রচেষ্টা


হযরত আবু বকর (রাঃ) ব্যক্তিগত জীবনে অঢেল ধনসম্পত্তির মালিক ছিলেন। দেশ বিদেশে ব্যবসা বাণিজ্যের সুবাদে তার ভাণ্ডারে জমা হয়েছিল ঈর্ষণীয় সম্পত্তি। ইসলাম গ্রহণের পর তার অর্থকড়ি দেদারসে ব্যয় করেছিলেন ইসলামের উন্নয়নে। পৌত্তলিকদের সাথে বিভিন্ন যুদ্ধে তার অর্থসাহায্য বিশেষ ভূমিকায় রূপ নিয়েছিল। এমনকি তাবুকের যুদ্ধে তার জীবনের অর্জিত সকল সম্পদ যুদ্ধের ব্যয়ভার বহনের জন্য দান করে দেয়ার মাধ্যমে অভূতপূর্ব উদাহরণের সৃষ্টি করে গিয়েছিলেন। যাইহোক, অর্থশক্তির গরমে তিনি খুব শীঘ্রই কুরাইশদের বিষফোঁড়া হয়ে উঠলেন। ক্রীতদাস এবং নির্যাতিতদের অর্থের বিনিময়ে মালিকপক্ষের কাছ থেকে ধারাবাহিকভাবে মুক্ত করতে লাগলেন। এদের অনেকেই পরবর্তীতে সাহাবির মর্যাদা পেয়েছিলেন। হযরত বিলাল (রাঃ) তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। দাসদের মুক্তিকার্যে আবু বকর (রাঃ) নিজের তহবিলের প্রায় ত্রিশ হাজার স্বর্ণমুদ্রা ব্যয় করেছিলেন। তার এমন কর্মকাণ্ডে কুরাইশগণ উসখুস করতে লাগল। তারা মনস্থির করল, অন্তত আবু বকর (রাঃ) কে দমাতে হবে, সেটা যেকোনমূল্যে। কুরাইশ যুবকদের একটি দলকে আবু বকর (রাঃ) বিরূদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হল। তারা আবু বকর (রাঃ) এর বিরূদ্ধে শারীরিক ও মানসিক এই দুই ধরণের অত্যাচারই চালাতে লাগল। অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকল যে, স্বয়ং রাসূল আবু বকর (রাঃ) নিরাপত্তার প্রশ্নে চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তিনি মনস্থির করলেন আবিসিনিয়ার দ্বিতীয় কিস্তির হিজরতে আবু বকর (রাঃ) কে পাঠিয়ে দিবেন। কথিত আছে, আবু বকর (রাঃ) এর নেতৃত্বে হিজরতকারীর একটি ক্ষুদ্র দল যখন আবিসিনিয়ার পথে পা বাড়ায় তখন ইবনে দোজানা নামক কুরাইশ বংশীয় এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি তাদের গতিরোধ করে দাঁড়ায়। তার ভাষায়,

আপনার মত সৎ ব্যক্তির মক্কা ত্যাগ আমাদের জন্য অকল্যাণকর, আপনি ফিরে চলুন। আপনার নিরাপত্তার ভার আমার কাঁধে নিলাম"।

অতঃপর রাসূলের পরামর্শে আবু বকর (রাঃ) পুনরায় মক্কা ফেরেন। তবে কুরাইশদের পক্ষ থেকে শর্ত জুড়ে দেয়া হল। নীরবে ধর্মকর্ম পালন করতে পারবেন তিনি, বেশি বাড়াবাড়ি হলে পরিণতি হবে ভয়ানক।

এমন শর্তের মারপ্যাঁচে পড়ে আবু বকর (রাঃ) নিজের বাড়িতেই অস্থায়ী মসজিদ তৈরি করে সেথায় নামায ও কোরআন তিলাওয়াত অব্যাহত রাখলেন। তবে এখানেও ঘটল বিপত্তি। আবার কুরাইশদের পক্ষ থেকে অভিযোগের আঙুল। তার কোরআন তিলাওয়াতের কারনে নাকি আশেপাশের লোকদের বিশেষ অসুবিধা হচ্ছে, তারা নাকি নতুন এ গ্রন্থের স্বাদ গ্রহণে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এমন ঘটনা পৌত্তলিকতার মর্মমূলে আঘাত করবে তা বলাই বাহুল্য। কুরাইশদের একটি দল আবু দোজানার কাছে গিয়ে তাদের অসন্তোষ জানিয়ে আসে। দোজানা আবু বকর (রাঃ) এর কাছে গিয়ে কিছু কটু কথা শুনিয়ে আসল এবং তাকে সতর্ক করে দিল।

গুহার দ্বিতীয় ব্যক্তি

কুরাইশদের দমন পীড়ন শেষ পর্যন্ত এমন পর্যায়ে চলে গেল যে, মক্কা নগরী কোনদিক থেকেই নওমুসলিমদের জন্য নিরাপদ মনে হল না। অবস্থার গুরুত্ব উপলব্ধি করে এর আগে অবশ্য নওমুসলিমদের মদিনায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। শেষ পর্যন্ত মহানবী (সাঃ) মনস্থির করলেন তিনিও মক্কা ত্যাগ করবেন। অধিকতর নিরাপদ নগরী মদিনাই হবে তার হিজরতের আদর্শ স্থান। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসের শেষের দিকে এক গুমোট ধরা অন্ধকার রাতে প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে গেলেন মহামানব মহানবী (সাঃ), সাথে তার পুরনো বন্ধু নির্ভরতার প্রতীক আবু বকর (রাঃ) ! ক্লান্ত শ্রান্ত দেহ আর পশ্চাতে কুরাইশদের ভয় এমন ভয়ংকর অবস্থায় তারা আশ্রয় নিলেন সওর পর্বতের গুহায়। মহানবী যখন ঘুমিয়ে আছেন এমন অবস্থায় আবু বকর (রাঃ) একটি সাপের ছোবল থেকে রক্ষা করে নিজে আহত হওয়ার ঘটনা এখনো আরব এলাকায় প্রবাদবাক্যের মত ফেরে। পবিত্র কোরআনে আবু বকর (রাঃ) এর সওর পর্বতের গুহায় অবস্থানের কারণে সম্মানিত করা হয়েছে গুহার দ্বিতীয় ব্যক্তি নামে। এ গুহায় তারা তিনদিন আত্মগোপনে ছিলেন।পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আবু বকর (রাঃ) ভৃত্য প্রতিদিন এই পথে ছাগল চরাতো যাতে করে পদচিহ্নর প্রমাণ মুছে যায় এবং দুইজনকে ছাগলের দুধ পান করিয়ে প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীরও যোগান দিয়ে যেত। চতুর্থ দিনের মাথায় আবু বকর একটি উট জোগাড় করতে সমর্থ হোন এবং এই উটে চেপে তারা মদিনার পথে পা বাড়ান।

শেষ নবীর মৃত্যু ও আবুবকর (রাঃ) এর খিলাফত লাভ

"(হে মুহাম্মদ) আজ আমি তোমার দ্বীনকে সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমার প্রতি আমার অনুগ্রহ পূর্ণ করে দিলাম। ইসলামকে পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করলাম"।

আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসার পরপরই কার্যত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বর্ণাঢ্য কর্মযজ্ঞের সমাপ্তি ঘটে। তার অগণিত ভক্তকূলকে কাঁদিয়ে তিনি পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন। তার মৃত্যুর পর পুরো আরব উপদ্বীপে হুলস্থূল পড়ে যায়। যেন কেউ বিশ্বাস করতে চাইল না যে, নবী করিম (সাঃ) মারা যেতে পারেন। হযরত ওমর (রাঃ) তো আরো একধাপ এগিয়ে ঘোষণা করলেন, যে বলবে মুহাম্মদ মৃত আমি তার মস্তক দ্বিখণ্ডিত করব।

এমন অশান্ত এক সময়ে মহানবী (সাঃ) এর মৃত্যুকে ছাপিয়ে একটি জাগতিক সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করল। প্রশ্নটা খিলাফতের। কে হবেন ইসলামের নতুন খলিফা?

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মরদেহ যখন দাফনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল, তখন কাবা শরীফের অদূরে আনসারদের সফিফায়ে বনি সাদায় গোত্র সমবেত হয়ে খলিফা নির্বাচনের চেষ্টা তদবির করতে লাগল। নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে তারা সাদ বিন ওবায়দাকে নতুন খলিফা হিসেবে পছন্দ করল। আবু বকর এমন খবর শুনে ব্যাপারটি গুরুত্ব সাথে নিলেন এবং উপলব্ধি করলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দাফনের আগেই সমস্যাটির সমাধান করা জরুরি। আনসারগণ যদি উত্তেজিত হয়ে সাদ বিন ওবায়দাকে খলিফা হিসেবে নির্বাচিত করে বসে এবং তিনি যদি সর্বজনস্বীকৃত না হোন তবে রক্তপাতের সমূহ সম্ভাবনার কথা বুঝতে পেরে আবু বকর (রাঃ) তৎক্ষণাৎ ওমর ও আবু উবায়দাকে সাথে করে তথায় উপস্থিত হোন।

সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান, আনসারগণ এখনো কোন সিদ্ধান্ত উপনীত হতে পারেনি। আবু বকর (রাঃ) তাদের অযাচিত দাবির যৌক্তিকতার কৈফিয়ত চাইলেন। আনসারদের মতে, ইসলাম প্রতিষ্ঠা ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার কাজে তারাই সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের এ ত্যাগের প্রাপ্তিস্বীকারের স্বার্থেই খলিফা আনসারদের মধ্য থেকেই হওয়া উচিত। তা যদি একান্তই না হয় তবে মুহাজির ও আনসার উভয় পক্ষ থেকে দুজন আমির নির্বাচন করতে হবে। এ বক্তব্য শুনে হযরত ওমর গর্জে উঠেন। ক্রোধান্বিত ওমর আক্রোশে বলে উঠলেন, "এক খাপে দুই তরবারি শোভা পায় না"।

হযরত আবু বকর (রাঃ) বুঝতে পারলেন পরিস্থিতি সঙ্গীন । তিনি কূটনৈতিক কৌশলের আশ্রয় নিয়ে আনসার ও মুহাজির উভয়পক্ষকে পাশ কাটিয়ে একটি নিরপেক্ষ বক্তৃতা প্রদান করেন।

তবুও আনসারগণ সন্তুষ্ট হতে পারেনি। তারা বলল, খলিফা যদি মুহাজিরদের পক্ষ থেকে নির্বাচিত করা হয় তবে শেষপর্যন্ত রক্তপাত আর এড়ানো সম্ভব নয়। এমন সহিংস সময়ের প্রারম্ভে আবু উবায়দা একটি চাতুর্যপূর্ণ উক্তি করে বসলেন। আনসারদের উদ্দেশ্যে তিনি বললেন, "হায় আনসারগণ! ইসলাম রক্ষায় তোমরা যেমন এগিয়ে এসেছিলে ঠিক ইসলাম ধ্বংসেও তোমরা সেভাবে এগিয়ে এসেছ"।

আবু উবায়দার এমন উক্তিতে উপস্থিত সবাই অপ্রস্তুত বোধ করতে লাগল। বস্তুত তার এমন মর্মস্পর্শী কথায় আনসারদের ভাবাবেগে আঘাত হানল বেশ জোরেশোরেই। খাজরাজ গোত্রের আনসার নেতা বশির বিন সাদ তৎক্ষণাৎ আনসারদের থামতে বলেন এবং আবু উবায়দার উক্তির পক্ষে সাফাই গাইতে লাগলেন। তিনি বললেন, মুহাজিররাই খিলাফতের প্রকৃত সত্ত্বাধিকারী। কারন স্বয়ং আল্লাহ তাদের সে মর্যাদা দিয়েছেন। বশির বিন সাইদের এমন জবাবে অবস্থার মোড় দ্রুত অন্যদিকে প্রবাহিত হতে লাগল। আবু বকর (রাঃ) সুযোগ বুঝে সবার উদ্দেশ্যে নতুন খলিফার হিসেবে ওমর (রাঃ) ও উবায়দার নাম প্রস্তাব করে বসেন এবং তিনি আনসারদের উদ্দেশ্যে এও বলেন, যিনিই খলিফা নির্বাচিত হোন না কেন তিনি হবেন সব পক্ষের খলিফা এবং যথাযথ নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন। হযরত ওমর (রাঃ) এর রূঢ় স্বভাবের কারনে উপস্থিত কেউই ওমরকে খলিফা হিসেবে মানতে চাইলেন না। আর উবায়দা ছিলেন অনভিজ্ঞ। এমন দোদুল্যমান সময়ে আকস্মিকভাবে ওমর (রাঃ) আবু বকর (রাঃ) হাতে হাত রেখে খলিফা হিসেবে ঘোষণা করেন এবং তার প্রতি আনুগত্যের শপথ নেন। একই পথ অনুসরণ করেন আবু উবায়দা ও আনসার নেতা বশির বিন সাইদ। বশির বিন সাইদের মতকে উপেক্ষা করার সাহস আনসারদের ছিল না। ফলশ্রুতিতে একে সবাই আবু বকর (রাঃ) এর কাছে আনুগত্যের শপথ নেন। ইসলামের প্রথম খলিফার মুকুট গায়ে জড়ানোর অব্যবহিত পর আবু বকর (রাঃ) যে উদ্বোধনী বক্তৃতা প্রদান করেন তা ইসলামের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম চমৎকার বক্তৃতা হিসেবে পরিগণিত হয়।

হে আমার মুসলিম ভাইরা। সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার। আজ তোমরা আমাকে খলিফার সম্মানে সম্মানিত করেছ আমি এতে কল্যাণকর ইংগিত অনুভব করছি। আমি জানি তোমাদের চেয়ে আমি যোগ্য নই। আমার চেয়ে আরো উপযুক্ত ব্যক্তি তোমাদের মধ্যে আছে। তা সত্ত্বেও তোমরা কেন যে আমাকে খলিফা হিসেবে নির্বাচিত করলে তা আমি ভেবে পাই না। আমার চেয়ে ভাল লোককে আমি খলিফা হিসেবে প্রত্যাশা করেছিলাম। তবু তোমরা যখন দায়িত্ব দিয়েছ আমি তা প্রাণপণে মেনে চলব। আমি বলছি, যতদিন পর্যন্ত আমি আল্লাহ ও তার রাসূলের পথ অনুসরণ করব ততদিন আমাকে তোমরা অনুসরণ করবে। আর যেইনা আমি এ পথ থেকে বিচ্যুত হব তোমরা আমার প্রতিবাদ করবে। তোমাদের মধ্যে যারা দুর্বল তাদেরকে আমি সবল বলে গণ্য করব যতক্ষণ না পর্যন্ত তোমাদের হক আদায় করে দেই। আর তোমাদের মধ্যে যারা সবল তাদেরকে আমি দুর্বল বলে গণ্য করব যতক্ষণ না পর্যন্ত তোমাদের কাছ থেকে দুর্বলের হক আদায় না করে দেই।

সিরিয়া অভিযানের সমালোচনা

সিরিয়া অভিযানের প্রকৃত কার্যকারিতা নিয়ে ঐতিহাসিকগণ দ্বিধাবিভক্ত মত প্রকাশ করেছেন। ইউরোপীয় ঐতিহাসিকদের মতে, সিরিয়া অভিযানে কোন কার্যকর উদ্দেশ্য সাধন হয়নি। এই অভিযানকে তারা নিছক 'লুন্ঠনমূলক আক্রমণ' হিসেবে অভিহিত করেছেন।


কিন্তু গভীরভাবে উপলব্ধি করলে বুঝা যায় যে, সিরিয়া অভিযান শুধু অভিযানের খাতিরেই সংগঠিত হয়নি। সেখানে যদি সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হত তবে কি ঘটত তা অনুধাবন করতে হবে আমাদের। কারন সিরিয়া সীমান্তের উপজাতিদের মধ্যে আগে থেকেই বিদ্রোহভাব বজায় ছিল। উপরন্তু বিদ্রোহী গ্রুপগুলো মদিনা আক্রমণের দুঃসাহসও মনে পোষণ করতে থাকে। নতুন খলিফার সুসজ্জিত বাহিনী দেখে তারা ভীত হয়ে পড়ে। সর্বোপরি সিরিয়া বিজয়ের ফলে নতুন খিলাফতের শক্তিমত্তা সম্পর্কেও সবার সম্যক একটি ধারণা তৈরি হয়ে যায়। যার কারনে পরবর্তীতে বিদ্রোহীদের বিদ্রোহ করার জন্য দুইবার ভাবতে হয়।

রিদ্দার যুদ্ধ

মহানবীর মৃত্যুতে পুরো আরব উপদ্বীপের সমাজব্যবস্থা গোঁজামিল আর বিশৃঙ্খলায় যেন টইটম্বুর করতে লাগল। দিকে বিদ্রোহীদের চোখ রাঙানো আর নতুন উৎপাত ভণ্ড নবী এবং ধর্মত্যাগীদের সক্রিয় অবস্থান। আরব যাযাবর গোষ্ঠী বেদুইন ও কতিপয় সুবিধাবাদী গোত্র প্রকাশ্যে আবু বকর (রাঃ) এর সাম্রাজ্যের বিরোধিতায় মত্ত হয়ে গেল। তারা ঘোষণা করল, ইসলামের বিধিসিদ্ধ জীবনে তারা হাপিয়ে উঠেছে, পৌত্তলিকতাই তাদের কাছে ঢের ভাল ঠেকে। এদের একটি দল যাকাত প্রদান করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করল। অবস্থা এতই গুরুতর আকার ধারণ করল যে, হযরত ওমর (রাঃ) পর্যন্ত আপাতত যাকাত রহিত করার পক্ষে মত দেন। ওমর (রাঃ) এর এমন আবদার শুনে আবু বকর (রাঃ) তাকে বিশাল এক ধমক দিয়ে বললেম, ওমর তোমার এ কি অধঃপতন! আমি কোনভাবেই যাকাত রহিত করে দিতে পারিনা। প্রয়োজনে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হবে।

বিশৃঙ্খলা যখন তুঙ্গে তখন এর পালে আরো হাওয়া লাগাল চার ভণ্ড নবী। আবু বকর (রাঃ) ভীত না হয়ে এদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত সামরিক আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ইতিহাসে এই যুদ্ধই রিদ্দার যুদ্ধ নামে সুপরিচিত।

৬৩২ সালের আগস্টের শেষের দিকে বিদ্রোহীদের মূল উৎপাটন করতে আবু বকর (রাঃ) তার সৈন্যদলকে যুকিসার দিকে যাত্রা করার আদেশ দেন। যুকিসা ছিল বিদ্রোহীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাটি। আবু বকর (রাঃ) তার সেনাদলকে ১১ টি দলে বিভক্ত করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী দলের নেতৃত্বে ছিলেন মহাবীর খালিদ বিন ওয়ালিদ। প্রতি সৈন্যদলের একজন করে কমান্ডার ছিল। প্রত্যেকে কমান্ডারের হাতে থাকত একটি করে পতাকা। কোন বিদ্রোহী গ্রুপের সাথে কে লড়াই করবে তার রূপরেখাও তৈরি করে দেন আবু বকর। খালিদ বিন ওয়ালিদকে দায়িত্ব দেয়া হয় বুজাখার আসাদ গোত্রের তুলায়হাকে দমন করতে। মুসায়লামাকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত থাকেন ইকরিমা বিন আবু জেহেল। খালিদ বিন সাইদকে দায়িত্ব দেয়া হয় সিরিয়া সীমান্তের খ্রিষ্টান বিদ্রোহীদের শায়েস্তা করতে। এভাবে ১১ জন কমান্ডার ১১ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সম্মিলিত আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। বিদ্রোহীদের আক্রমণের জন্য আবু বকর (রাঃ) কিছু নির্দেশনা দিয়ে যান।

১। বিদ্রোহীদের সামনে গিয়ে আযান দেয়া হবে। যদি তারা আযানের উত্তর দেয় তবে প্রাথমিকভাবে তাদের আক্রমণ করা যাবেনা। আযানের পর তারা যদি আত্মসমর্পণ করতে অসম্মত হয় তবে তাদের আক্রমণ করা হবে।

২। যারা আযানের উত্তর দিবেনা তাদের দমন করতে তলোয়ার ব্যবহার করতে হবে।

এমন নির্দেশনা পালন করে আবু বকর (রাঃ) এর বাহিনী মধ্য আরবের ভণ্ড নবী মুসায়লামা, বুজাখার তোলায়হা, নজদের বনু তামিম গোত্র, ইয়েমেনের ভণ্ড নবী আল আসওয়াদ এবং বাহরাইন, হাজরামাউত, মাহরা অঞ্চলের বিদ্রোহ সাফল্যের সাথে দমন করতে সমর্থ হয়। এই অভিযানের ফলাফল হিসেবে কার্যত সব ধরণের বিদ্রোহের ইতি ঘটে এবং সাম্রাজ্যে শৃংখলা ফিরে আসে।

কোরআন সংরক্ষণ

ইয়ামামার যুদ্ধে বহু সংখ্যক কোরআনে হাফেজ শহীদ হলে হযরত উসমান (রাঃ) এর মনে আশংকা জাগে, কোরআন পাঠের বিশুদ্ধতা নিয়ে হয়তো পরবর্তীতে মতভেদ সৃষ্টি হতে পারে। তাই তিনি হযরত আবু বকর (রাঃ) এর কাছে কোরআনের একটি অনুমোদিত ভার্সন সংরক্ষণের জন্য অনুরোধ জানান। আবু বকর (রাঃ) ও এর গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। এ কাজের জন্য তিনি যায়েদ বিন সাবিত ও উসমান (রাঃ) এর নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করেন। এখানে একটি কথা বলা প্রয়োজন যে, ইউরোপীয় ঐতিহাসিকগণ মনে করেন কোরআন শরীফের খণ্ড আয়াত সাহাবীদের কাছে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় ছিল। আবু বকর (রাঃ) ও উসমান (রাঃ) সেই খণ্ডগুলোকে একত্রিত করে তার বর্তমান রূপ দেন। কিন্তু এই ধারণাটি ভ্রান্ত। নবী করিম (সাঃ) তার ওফাতের আগে নিজেই কোরআন শরীফকে বর্তমান আকারে সন্নিবেশিত করে গিয়েছিলেন।

৬১০ খ্রিষ্টাব্দের রমযান মাস থেকে শুরু করে বিদায় হজ্বের প্রাক্কাল পর্যন্ত যে সূরাগুলো নাযিল হয়েছিল তা রাসূলের তত্ত্বাবধানে লিখিত আকারেই ছিল। প্রাচীনকাল থেকে আরববাসীর লিপিচর্চা ঐতিহাসিকভাবে সত্য। জাহেলিয়া যুগে আরব কবিদের কবিতাংশ কাবা ঘরে ঝুলিয়ে রাখার প্রমাণ আছে। সেহেতু মুহাম্মদ (সাঃ) পক্ষ থেকে কোরআন লিখিত আকারে থাকার কোন বাধা ছিল না। হযরত আবু বকর (রাঃ) শুধু রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোরআনের অবিসংবাদী পাঠ সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন। সাথে পাঠের সত্যতা সম্পর্কে হাফেয ও ক্বারীদের সাহায্য নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সর্বজনস্বীকৃত অংশ রেখে বাকি খণ্ডগুলো পুড়িয়ে দেয়া হয়।

আবু বকর (রাঃ) এর মৃত্যু

প্রায় দুই বছরের ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবনের পাঠ চুকিয়ে ৬৩৪ সালের আগস্টের শেষের দিকে আবু বকরের শরীর ক্রমে খারাপ হতে থাকে। তিনি বুঝতে পারলেন তার হাতে সময় খুব একটা নেই। মৃত্যুর ঠিক আগে তিনি অনুভব করলেন সাম্রাজ্যের পরবর্তী খলিফা কে হবেন তার ফয়সালা করা জরুরি। অভিজ্ঞ সাহাবিদের পরামর্শে হযরত উমরকেই ইসলামের দ্বিতীয় খলিফার মর্যাদা দেয়া হয়। আর অল্পদিন পরেই ৬৩৪ সালের ২৩ শে আগস্ট পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন, ইসলামের দুর্দিনের কাণ্ডারি, ইসলামের ত্রাণকর্তা মহামতি খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ)।

পাঠক, মহান এ খলিফার জীবনদর্শন নিয়ে যে আলোচনা হল তা খুব সামান্য। এমন নেতার জীবনকে ক্ষুদ্র লেখা দিয়ে পর্যালোচনা করা সম্ভব নয়। তার জীবনের আলোর অনেক অংশ হয়তো আমরা ভালভাবে তুলে ধরতে পারিনি বা অনেক অংশ এড়িয়ে গিয়েছি। এ আমাদের সীমাবদ্ধতা। ইসলাম ও ইসলামি সাম্রাজ্যের ত্রাণকর্তার সম্মান তাকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। শ্রদ্ধাভরে তাকে স্মরণ করে শেষ করছি আজকের লেখা।

http://itibritto.com/hazrat-abu-bakr-ra/

Wikipedia

No comments:

Post a Comment